ওয়ালি মাহমুদ। নব্বই দশকের কবি। পুরো নাম মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান মাহমুদ। বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানাধীন জলঢুপ পাতন গ্রামের হোকনিয়া মহল্লার দেওয়ান ভিলা’য় ১লা আগস্ট, ১৯৭২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। লেখাপড়া- সিইএলটি, টাওয়ার হ্যামলেটস কলেজ, লন্ডন, ২০০১ সালে। ১৯৮৬ সালে দেয়াল পত্রিকার মাধ্যমে প্রথম লেখালেখির হাতে খড়ি। কাব্যের জগতে কখনো গদ্যের তীরে হাঁটতে হাঁটতে কুশিয়ারা, কখনোবা পদ্যের তীর ঘেঁষে সুনাই অথবা বিলেতের টেমস অবধি। নিয়মমাফিক বৃত্তের বাইরে স্বতন্ত্র অবস্থানের পুন:পুন: প্রচেষ্টায় মলাটবন্দী কাব্যের পঙক্তিমালার সযত্ন সৃষ্টি, কবিতাকে চিনিয়ে দেয় গভীরভাবে। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী ফারজানা বিএল মাহমুদ এবং কন্যা যারীন সোফিয়া মাহমুদ-কে নিয়ে তার সংসার ।
লেখকের সম্পাদিত লিটলম্যাগ ও প্রকাশিত গ্রন্থগুলো যথাক্রমে- ‘কবিয়াল’ লিটলম্যাগ (সম্পাদিত, ১৯৯২), ‘শিকড়’ (সম্পাদিত, ১৯৯৪), ‘ভালোবাসার পোয়াতি’ (কোলাজ, ১৯৯৯), ‘যৈবতী শোন’ (কোলাজ, ১৯৯৯), ‘একটি দীর্ঘশ্বাসের মৃত্যু’ (উৎস, ২০০১), DEATH OF A SIGH (উৎস, ২০০১), ‘আমি এক উত্তরপুরুষ’ (উৎস, ২০০২), ‘I AM THE DESCENDANT’ (উৎস, ২০০২), ‘নির্বাসনে. নির্বাচিত দ্রোহ’ (ম্যাগনাম ওপাস, ২০০৪)। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ‘লোকন’ লিটলম্যাগ সম্পাদনা করেন। লন্ডনে তার কবিতা এবং বিভিন্ন বিষয়াদির আঙ্গিক নিয়ে মুখোমুখী হন ফরিদা ইয়াসমিন তিথি।