ওয়ালি মাহমুদ। পুরো নাম মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান মাহমুদ। সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ পাতন গ্রামের দেওয়ান ভিলায়, ১লা আগস্ট ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।ওয়ালি মাহমুদের পিতা মতিউর রহমান মাহমুদ এবং মাতা সুফিয়া আখতার মাহমুদ। শিক্ষা- স্নাতক কলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; স্নাতকোত্তর, এমসি কলেজ; সিইএলটি, টাওয়ার হ্যামলেটস কলেজ, লন্ডন; লেভেল ৩ অ্যাওয়ার্ড, এইচএবিসি, ইউকে; সিসি ইন ইংলিশ; সিসি ইন আইসিটি (ইন্টারমিডিয়েট) অপাল এডুকেশন, হার্টফোর্ডশায়ার, ইউকে। এ সময়ের বাংলা কবিতার সঙ্গে যার ঘর-সংসার। কাব্যের জগতে কখনো গদ্যের তীরে হাঁটতে হাঁটতে কুশিয়ারা, কখনোবা পদ্যের তীর ঘেঁষে সুনাই অথবা বিলেতের টেমস অবধি। অব্যয়ী বিবর্তনা দিয়ে কাজ করেন। কবিতার ঘর বানাতে বিশুদ্ধ বাংলার গাঁথনি দিয়ে শুরু করেও কাঁচামাল হিসেবে কোন সময় নাগরী, আবার কোন সময় হোকনিয়ার পাশ দিয়ে তিসরী বিলের ফুলেল বসন্তও বাদ যায়নি। প্রকৃতি, নদী ও নারীর সমষ্টি তার লেখায় মূর্ত। ভালবাসার বিমূর্ত আবেগকে তিনি কাব্যের চয়নিক শব্দ-কল্প, উপমার বোধানুকূল প্রয়োগ করেছেন বিভিন্নভাবে।
তিনি ডায়াস্পোরা লিটারেচার ও বিভিন্ন সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব; মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সিলেট জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি; পাতন আব্দুল্লাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দুবারের (২০১৬-১৭ খ্রি.; ২০১৮-১৯ খ্রি.) নির্বাচিত সভাপতি; ইংল্যান্ডে বিয়ানীবাজার এসোসিয়েশন অব ডরসেট কাউন্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি; ট্রাস্টি, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট,যুক্তরাজ্য উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে বাংলাদেশে ও ইংল্যান্ডে জনমত তৈরীসহ বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁকে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে অপরাজনীতির শিকার হতে হয়। বাংলাদেশে তাঁর পরিবার বিভিন্ন হুমকির শিকার হন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতাকারী- রাজাকার, শান্তি কমিটি, আল বদর, আল শামসসহ যারা সংশ্লিষ্ট ছিল- তাদের তথ্য এবং গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ করেন। একজন চারণ সংগ্রাহক হিসেবে প্রাসঙ্গিক তথ্য উপাত্তসমগ্র মুক্তিযুদ্ধ গবেষণার কাজে এবং রণাঙ্গণ ’৭১ গ্রন্থে ব্যবহৃত হয়।
ওয়ালি মাহমুদের প্রকাশতি বই- ভালোবাসার পোয়াতি (কোলাজ, ১৯৯৯), যৈবতী শোন (কোলাজ, ১৯৯৯), একটি দীর্ঘশ্বাসের মৃত্যু, DEATH OF A SIGH (উৎস, ২০০১), আমি এক উত্তরপুরুষ, ও I AM THE DESCENDANT (উৎস, ২০০২), নির্বাসনে, নির্বাচিত দ্রোহ (ম্যাগনাম ওপাস, ২০০৪), যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে ‘লোকন’ লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী ফারজানা বিএল মাহমুদ এবং তাদের তিন কন্যা- যারীন সোফিয়া মাহমুদ, মেহরীন ওয়ালি মাহমুদ ও হাসিনা ওয়ালি মাহমুদ।
দি এশিয়ান | কায়রো,মিশর |আরবী ভাষায় প্রকাশিত হয় ২৬ মে,২০২১